গুড়া কৃমি তাড়ানোর উপায় - গুড়া কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়

পেটে সুতা কৃমি বা গুড়া কৃমি তাড়ানোর উপায় জানতে চান? সুতা কৃমি বা গুড়া কৃমি একটি পরজীবী যেটা মানুষের মলাশয় বা মলদ্বারে থাকে। এই গুড়া কৃমি বেঁচে থাকার জন্য মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে। একবার কোনো ব্যাক্তি এই সুতা কৃমি বা গুড়া কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হলে এই কৃমি খুদ্রান্তে বেড়ে ওঠে
এবং তারা বংশ বৃদ্ধির জন্য মলদ্বারে ডিম পাড়তে শুরু করে। আর সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে শারীরিক নানা ধরণের অসুস্থতা দেখা দেয়। তাই সুতা কৃমি বা গুড়া কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জানা খুবই জরুরী। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সুতা কৃমি বা গুড়া কৃমির ঔষুধ খাওয়ার নিয়ম এবং গুড়া কৃমি তাড়ানোর উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।

সূচিপত্রঃ গুড়া কৃমি তাড়ানোর উপায়

গুড়া কৃমি তাড়ানোর উপায়

আমরা সকলেই প্রায় সুতা কৃমি বা গুড়া কৃমির সমস্যায় ভুগতে থাকি। গুড়া কৃমি তাড়ানোর জন্য বেশ কিছু ঔষুধ পাওয়া যায়, যা তাৎক্ষণিক কৃমির হাত থেকে রক্ষা করে কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী কৃমি থেকে রক্ষা পেতে হলে গুড়া কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। গুড়া কৃমি তাড়ানোর উপায় নিচে জেনে নিন। যেমন:
  1. রসুন: রসুন একটু প্যারাসাইটিক যা পরজীবী নাশক খাবার যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুন প্রায় ২০ ধরণের ব্যাকটেরিয়া ও ৬০ ধরণের ফাঙ্গাস মেরে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২ কোয়া রসুন খেয়ে গুড়া কৃমি সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  2. শসার বীজ: গুড়া কৃমি সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে শসার বীজ একটি অত্যন্ত কার্যকারী উপাদান। শসার বীজ রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে ৪ থেকে ৫ দিন সকালে গরম পানির সাথে খালি পেটে খেতে পারলে কৃমির সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
  3. কুমড়ার বিচি: ১ চা চামচ মিষ্টি কুমড়ার বিচির গুড়োর সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে যদি এক সপ্তাহে খালি পেটে খাওয়া যায় তাহলে দ্রুত কৃমি সুতা কৃমি বা গুড়া কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  4. গাজর: গুড়া কৃমির সমস্যা দূর করতে গাজর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি করে গাজর খেলে কৃমির সমস্যা থেকে দ্রুতই মুক্তি পাওয়া যায়।
  5. আপেল সিডার ভিনেগার: পর পর ৫ থেকে ৬ দিন খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে আপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারলে তা পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং এই অ্যাসিড শরীরে বাসা বেঁধে থাকা প্যারাসাইট বা কৃমি ও তাদের লার্ভা গুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
  6. হলুদ: কাঁচা হলুদ হলো এক ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক এবং গুড়া কৃমি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকারী একটি উপাদান। এক কাপ উষ্ণ গরম পানিতে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং লবণ মিশিয়ে পর পর ৪ থেকে ৫ দিন এই মিশ্রণটি খেলে খুব ভালো একটি উপকার পাওয়া যায়।
  7. আনারস: কৃমির সমস্যায় আনারস খুব কার্যকারী উপাদান। আনারস থাকে ব্রমেলাইন নামক উপাদান যা পেটে বাসা বেঁধে থাকা প্যারাসাইট গুলোকে মারতে সাহায্য করে। পর পর ৩ থেকে ৪ দিন নিয়মিত আনারস খেলে কৃমির গুড়া কৃমির সমস্যা সর্ম্পূণ ভাবে দূর করা সম্ভব।
উপরোক্ত নিয়ম মেনে চললে ও নিরাপদ খাদ্য এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করাই হচ্ছে গুড়া কৃমি তাড়ানোর উপায়। তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে গুড়া কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

গুড়া কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়

সুতা কৃমি বা গুড়া কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমার কোনো না কোনো ভাবে গুড়া কৃমি দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকি। আর এই কৃমি আমাদের শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় এই কৃমি মলদ্বারে চুলকানির সৃষ্টি করে যা একটি অস্বস্তিকর অনুভবের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই নিচে গুড়া কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো দেওয়া হলো।
  • নিমপাতা: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস নিমপাতার রস খেলে গুড়া কৃমি দূর হয়।
  • রসুন: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খেলে কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
  • আনারস: আনারসে প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে, যা গুড়া কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
  • নারকেল: নারকেল পেটে থাকা কৃমি মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
  • শসার বীজ: শসার বীজে থাকা উপাদান কৃমি দূর করে।
  • লবঙ্গ: লবঙ্গ থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল কৃমি দূর করে।
  • গোলমরিচ ও মধু: গোলমরিচে অ্যান্টি হেলমিন্থিক গুণ রয়েছে যেটা গুড়া কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
  • পানির উপকারিতা: গুড়া কৃমি হলে পানি বেশি পরিমাণে খেতে হবে, এতে করে কৃমি দূর করতে পানি সাহায্য করবে।
উপরোক্ত গুড়া কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো যদি কাজ না করে তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

গুড়া কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

গুড়া কৃমি থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে গুড়া কৃমির ঔষধ খাওয়া। যখন গুড়া কৃমি সংক্রামণ বেড়ে যায় তখন শরীরে ও পেটে এবং মলদ্বারে নানা রকমের সমস্যা দেখা যায়। বেশির ভাগ সময়ে মলদ্বারে চুলকানি শুরু হয়। তাই এই গুড়া কৃমির বা কুচো কৃমি দূর করার উপায় হচ্ছে কৃমির সবচেয়ে ভালো ঔষধ সেবন করা।

বড়দের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম এবং শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পূর্ণ আলাদা। তবে বড়দের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে দিনে একটা ৪০০ মি.গ্রা ট্যাবলেট এবং শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে ২০০ মি.গ্রা সিরাপ দিনে এক চামচ করে ৩ দিন।
কৃমির ট্যাবলেট ৩ মাস পর পর বাড়ির সকল সদস্যদের একসাথে খেতে হয়। কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম মেনে খেলে কৃমি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। তাই গুড়া কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

গুড়া কৃমি হওয়ার কারণ

আপনারা অনেকেই পেটে গুড়া কৃমি হওয়ার কারণ গুলো জানেন না যার ফলে সুতা কৃমি বা গুড়া কৃমিতে আক্রান্ত হয়ে যান। পূর্ণ বয়স্ক ব্যাক্তি অপেক্ষা শিশুদের কৃমি হওয়ার সম্ভবনা একটু বেশি থাকে। যেসকল কারণে কৃমির আক্রমণ হতে পারে সেসকল দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানীয় যার মধ্যে কৃমির ডিম মিশে গিয়েছে এমন খদ্য বা পানীয় গ্রহণ করলে কৃমির সংক্রমণ হতে পারে। জীবন যাত্রা অসাস্থ্যকর হলে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করার আগে, খাদ্য পরিপাক করার সময় এবং পরিবেশন করার আগে সাবান দিয়ে হাত না ধুলে গুড়া কৃমির সংক্রামণ হতে পারে।

যেখানে সেখানে মাঠের মধ্যে মলমুত্র ত্যাগ করলে মলের মধ্যে থাকা কৃমির ডিম বা লার্ভা মাঠের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে, আবার সেই মাঠে খালি পায়ে হাঁটলে সুতা কৃমি বা গুড়া কৃমির আক্রমণ হতে পারে।

শাকসবজি ভালোভাবে ধুয়ে না খেলে, মাংস কম সিদ্ধ করে খেলে পেটে কৃমি হতে পারে। এছাড়া বিছানায় খাবার খেলে এবং বিছানা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে গুড়া কিমি হতে পারে।

কি খেলে গুড়া কৃমি দূর হয়

অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করার কারণে গুড়া কৃমি বেশি সংক্রমিত হয়। তাই বিশেষ করে খাওয়া দাওয়ার ওপর বিশেষ যত্ন নিলে গুড়া কৃমি থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। কি খেলে গুড়া কৃমি দূর হয় নিচে জেনে নিন।
  • পেয়ারা
  • নারিকেল
  • নিমপাতা বাটা বা রস
  • কাঁচা রসুন
  • শসার বীজ
  • আনারস
  • লবঙ্গ
  • হলুদ
  • গোলমরিচ ও মধু
  • পেঁপে ও পেঁপের বীজ
  • কাঁচা আদা
  • পানির পরিমাণ বৃদ্ধি
এছাড়াও পুষ্টিকর খাদ্য, শাকসবজি এবং প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর মাধ্যমে পেটের স্বাস্থ্যের যত্ম নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্বাস্থ্যকর প্রবেশ এবং খাদ্য গ্রহণে কৃমি সংক্রমণ বা পেটে ডিম দিতে পারে না।

গুড়া কৃমি কি ক্ষতি করে

গুড়া কৃমি কি ক্ষতি করে সেটা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। গুড়া কৃমি কেন হয় এইটার একমাত্র কারণ হচ্ছে অনিরাপদ পানি ও খাদ্য এবং অসাস্থ্যকর পরিবেশে জীবন যাপন করা। গুড়া কৃমি কি ক্ষতি করে নিচে তার ক্ষতিকর দিক গুলো উল্লেখ করা হলো।
  • পেটের সমস্যা
  • মলদ্বারে চুলকানি
  • ঘুমের সমস্যা
  • অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ
  • ভিটামিনের অভাব
  • খিদে কমে যাওয়া
  • ঘুম না হওয়া
  • ওজন কমে যাওয়া
  • মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া
  • হতাসায় ভুগতে থাকা
  • অল্পতেই রেগে যাওয়া
গুড়া কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা অত্যান্ত কার্যকারী। এছাড়াও গুড়া কৃমি থেকে মুক্তির উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম উপায় হচ্ছে গুড়া কৃমির ঔষধ। কৃমির সবচেয়ে ভালো ঔষধ হচ্ছে এ্যালবেনডাজল (Albendazole) বা মেবেনডাজল (Mebendazole) নামক গ্রুপের এই দুইটি ঔষুধ।

বাচ্চাদের গুড়া কৃমি দূর করার উপায়

বিশেষ করে বাচ্চারা বেশি গুড়া কৃমিতে সংক্রমিত হয়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বাচ্চারা যেখানে সেখানে খালি পায়ে এবং বিভিন্ন নোংরা স্থানে খেলাধুলা করে। আবার নানা ধরনের নোংরা এবং ফেলা দেওয়া জিনিস মুখে দেয় যার কারণে বাচ্চারা গুড়া কৃমিতে আক্রান্ত হয়। বাচ্চাদের গুড়া কৃমি দূর করার উপায় নিচে দেওয়া হলো।
  • পরিষ্কার পরিবেশে বাচ্চাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করা
  • নিরাপদ খাদ্য ও পানির খাওয়া
  • প্রতিদিন বাচ্চাকে পরিষ্কার কাপড় পড়ানো
  • বাচ্চার রুম ও বিছানা পরিষ্কার করা
  • নিয়মিত হাতের নখ কেটে দেওয়া
  • পুষ্টিকর খবার নিশ্চিত করা
এইভাবে কিছু নিয়ম মেনে চললে বাচ্চাদের গুড়া কৃমি দূর করার উপায় নিশ্চিত করা যাবে। তবে কৃমি যদি এর পরও না কমে তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

গুড়া কৃমির ওষুধের নাম

গুড়া কৃমির ওষুধের নাম বলতে গেলে এ্যালবেনডাজল (Albendazole) বা মেবেনডাজল (Mebendazole) নামক গ্রুপের ঔষুধ দুইটাই পাওয়া যায়। বড়দের জন্য ৪০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট এবং ছোটদের জন্য সিরাপ পাওয়া যায়। গুড়া কৃমির ট্যাবলেট বা সিরাপ ৩ দিন সেবন করলে গুড়া কৃমি দূর হয়ে যাবে।
তাছাড়া ৩ বছরের বাচ্চার কৃমির ঔষধ ও ১ বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধের নাম এবং বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো তা আপনারা সঠিক ভাবে জানেন না, ফলে বাচ্চাদের কৃমি দূর হওয়ার পরিবরতে কৃমি আরও বেড়ে যায়।

তাই আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এবং বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয় বিস্তারিত দেওয়া হলো।

বড়দের কৃমির ঔষধের নাম:
  • Almex 400mg
  • Alben DS 400mg
  • Estazol 400mg
  • Albendazole-DS 400mg
  • Alphin DS 400mg
  • Sintel 400mg
  • Vermicid 400mg
  • AH 400mg
  • Azole 400mg
  • Aldoben DS 400mg
শিশুদের কৃমির ঔষধ এর নাম:
  • Almex (200mg/5ml)
  • Alben (200mg/5ml)
  • Sintel (200mg/5ml)
  • Estazol (200mg/5ml)
  • Ben-A (200mg/5ml)
  • Azole (200mg/5ml)
  • Vermikil (200mg/5ml)
উপরোক্ত ঔষুধ গুলো কেঁচোকৃমি (এসকারিস), সূতাকৃমি (এন্টারোবিয়াস), হুইপওয়ার্ম (ট্রাইচুরিস), গোলকৃমি, ফিতাকৃমি, ওপিসথর্কি, স্থূলকোষ কৃমি বিশেষ (হাইডাটিড) এবং গুড়া কৃমির জন্য খুবই কার্যকরী ঔষুধ। বড়দের জন্য ৪০০ মি.গ্রা. এবং শিশুদের কৃমির ঔষধের নাম সিরাপ ২০০ মি.গ্রা. খেলে কৃমি থেকে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মুক্তি পাওয়া যায়।

গুড়া কৃমির লক্ষণ

গুড়া কৃমি বিশেষ করে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে হয়ে থাকে। নিচে গুড়া কৃমির লক্ষণ গুলো উল্লেখ করা হলো।
  1. মলদ্বারে চুলকানি হবে
  2. চুলকানির জন্য ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে
  3. কখনও কখনও বমি বমি ভাব লাগা
  4. খিদে কমে যাওয়া
  5. বারবার পেট ব্যাথা হওয়া
  6. দিন দিন ওজন কমে যাওয়া
  7. সর্বদায় বিরক্তি লাগা বা মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া
এই সব লক্ষণ দেখলে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গুড়া কৃমির ঔষধ খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় গুড়া কৃমি দূর করার উপায়

গর্ভাবস্থায় গুড়া কৃমি দূর করার উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবন যাপন করা। কোনকিছু খাবার আগে নিয়মিত হাত সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করা। নিরাপদ পানি পান করা, পায়ে জুতা পরে চলাফেরা করা এবং পুষ্টিকর খাবার খেলে গর্ভাবস্থায় গুড়া কৃমি থেকে দূরে থাকা যায়।

তাছাড়া গর্ভাবস্থায় গুড়া কৃমি দ্বারা সংক্রমিত হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গুড়া কৃমি দূর করার ঔষধ খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় গুড়া কৃমি দূর করার উপায় গুলো নিচে দেওয়া হলো।
  • গর্ভাবস্থায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে
  • নিয়মিত খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে
  • টয়লেট করার পর সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে
  • নিয়মিত গোসল করতে হবে
  • পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে, যেমন: নারিকেল, কোলা, শাকসবজি ও নিরাপদ পানি পান করতে হবে।
  • নিয়মিত হাতের নখ কাটা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা
বিশেষ প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ সেবন করা এবং নিয়ম নীতি অনুসরণ করে চলা।

শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় গুড়া কৃমি তাড়ানোর উপায় হচ্ছে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা। এছাড়াও গুড়া কৃমি দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে যা কৃমি দূর করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও কৃমি নিয়ন্ত্রণ না হলে গুড়া কৃমি দূর করার ঔষুধ খেতে হবে।

আর গুড়া কৃমির ওষুধের নাম জানা না থাকলে ও ওষুধের দোকানে গেলেই পেয়ে যাবেন। গুড়া কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে দিনে ১ টা করে খতে হবে এবং বাড়ির সকল সদস্যের সবাইকে খেতে হবে।

কৃমি না কমলে আবার সাত দিন পর খেতে হবে এবং তারপর থেকে ৩ মাস পর পর নিয়মিত খেতে হবে। তাহলেই গুড়া কৃমি বা সকল প্রকার কৃমি থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে।

আজকের আর্টিকেল পড়ে যদি আপনার কোনো উপকার হয় তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ 💗

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url