বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় - বেসন দিয়ে রূপচর্চা
বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে চাচ্ছেন? বেসন ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। বেসন ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি ত্বকের নানা রকম সমস্যা দূর করে। বুটের ডাল বা ছোলার ডালের গুড়াই হচ্ছে বেসন। আর এই বেসন যুগ যুগ ধরে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বেসনের ফেসপ্যাক নিয়মিত মুখে ব্যবহারে ব্রণ, কালো দাগ ও ফুসকুড়ি দূর হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। আজকে শেয়ার করবো রূপচর্চায় বেসন ব্যবহার করার কিছু টিপস। তবে চলুন বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
সূচিপত্রঃ বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক
- বেসন দিয়ে রূপচর্চা
- মুখে বেসন ব্যবহারের নিয়ম
- বেসন দিয়ে মুখ পরিষ্কার
- বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক
- বেসন ও লেবুর ফেসপ্যাক
- বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক
- বেসন ও কফির ফেসপ্যাক
- বেসনের ফেসপ্যাক উপকারিতা
- মুখে বেসন মাখার অপকারিতা
- শেষ কথা
বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
বুটের ডাল বা ছোলার ডালের গুড়াকেই বেসন বলা হয়। এই বেসন রূপচর্চায় অনেক বেশি
কার্যকারী। বেসন ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। তাছাড়া বেসন হচ্ছে ত্বকের যত্নে
ব্যবহৃত একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বক পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য
করে।
মুখে বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়। বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো খুব
সহজ। বেসন দিয়ে রূপচর্চা করতে হলে বেসনের ফেসপ্যাক মুখে সঠিক নিয়মে মাখতে হবে।
1. টিপস: বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- ১ চামচ বেসন
- ১ চিমটি হলুদ গুড়া
- ১ চামচ গুড়া দুধ
- পরিমাণ মতো গোলাপ জল অথবা পানি
উপরের এই উপকরণ গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সেই
পেস্টটি পুরো মুখে লাগান। লাগানো হয়ে গেলে ৩০ মিনিট পরে মুখটি পরিষ্কার করে নিন।
এইভাবে এই পেস্টটি সপ্তাহে ২-৩ বার লাগালে ত্বকের রং দ্রুত ফর্সা হবে।
2. টিপস: বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- ১ চামচ বেসন
- ১ চিমটি হলুদ গুড়া
- ২ চামচ লেবুর রস
উপরের এই উপকরণ গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সেই
পেস্টটি পুরো মুখে লাগাতে হবে। তারপর ১৫ মিনিট পর মুখটি ভালো পানি দিয়ে পরিষ্কার
করে নিন।
তবে খেয়াল রাখবেন ১৫ মিনিটের বেশি রাখতে যাবেন না, কারণ এতে লেবুর রস
রয়েছে। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দাগ এবং তৈলাক্ত
ভাব দূর হবে।
3. টিপস: বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- ২ চামচ বেসন
- ১ চামচ শসার রস
- ১ চামচ গোলাপ জল
উপরের এই উপকরণ গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর এই
পেস্টটি পুরো মুখে লাগাতে হবে। তারপর ২০ মিনিট পর মুখটি ভালো পানি দিয়ে পরিষ্কার
করে নিন। এইভাবে আপনি বেসনের ফেসপ্যাক নিয়মিত মুখে ব্যবহার করলে রোদে পোড়া
কালো দাগ দূর হবে এবং ত্বক ফর্সা হবে।
অতএব, বেসন মুখে মাখার উপকারিতা অনেক। আপনারা যারা স্থায়ী ফর্সা
হওয়ার উপায় খুচ্ছেন তারা বেসনের ফেসপ্যাক মুখে বা ত্বকে নিয়মিত মাখতে পারবেন।
এতে করে আপানার ত্বকের রং ফর্সা হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক মুখে মাখার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক হচ্ছে একটি আদর্শ উপাদান। বেসন খুব
ভালোভাবে তৈলাক্ত বা তেল ভাব শোষণ করতে পারে।
তাছারাও ত্বকের ময়লা পরিষ্কার এবং ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে। বেশ কয়েকটি
মাধ্যমে বেসনের ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকারী বেসনের
ফেসপ্যাক এর প্রস্তুত করার নিয়ম উল্লেখ করা হলো।
প্রস্তুত প্রণালী:
- ১ চামচ বেসন
- ১ হলুদ গুড়া
- ১ চামচ লেবুর রস
- ১/২ (হাফ) চামচ গুড়া দুধ
- পরিমাণ মতো গোলাপ জল
উপরের এই উপকরণ গুলো খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তাপর এই পেস্টটি পুরো মুখে
ভালো করে লাগিয়ে নিন। তারপর ১৫-২০ মিনিট পর মুখ ভালো পানি দিয়ে পরিষ্কার করে
নিন।
এইভাবে নিয়ম করে সপ্তাহে ২-৩ বার নিয়মিত লাগালে আপানার ত্বকের তৈলাক্ত বা তেল
ভাব ধীরে ধীরে কমে যাবে। অতএব, এইভাবেই খুব সহজে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের
ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারবেন।
বেসন দিয়ে রূপচর্চা
বেসন দিয়ে রূপচর্চা একটি পুরাতন ও কার্যকারী মাধ্যম। প্রাচীনকাল থেকেই বেসন
রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বেসন দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে খুব দ্রুত ফর্সা হওয়া
যায়।
তাছাড়া বেসন মুখে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, রোদে পোড়া কালো
দাগ দূর হয়, ব্রণের দাগ দূর এবং ত্বকে জমে থাকা ফুসকুড়ি কমাতে সাহায্য করে।
বেসন এর সঙ্গে লেবুর রস, হলুদ গুড়া, দুধের গুড়া, মধু ইত্যাদি উপকরণ মিশিয়ে
পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। আর এই পেস্ট সপ্তাহে ২-৩ বার মুখে নিয়মিত ভাবে
ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং ফর্সা হওয়া যায়।
মুখে বেসন ব্যবহারের নিয়ম
মুখে বেসন ব্যবহারের নিয়ম জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেসন ত্বকের অতিরিক্ত
তৈলাক্ত ভাব বা তেল তেলে ভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি মুখের ত্বকে মসৃণ ও
পরিষ্কার রাখে। বেসন সঠিক ভাবে মুখে ব্যবহার করলে অনেক ধররের উপকারিতা রয়েছে।
তাছাড়া বেসন ব্যবহারে ত্বকের মৃত কোষ গুলোকে দূর করে এবং ত্বকে নতুন কোষ
তৈরিতে সাহায্য করে। বেসন বিভিন্ন নিয়মে ব্যবহার মুখে ব্যবহার করা হয়। নিচে
মুখে বেসন ব্যবহারের নিয়ম গুলো উল্লেখ করা হলো।
1. মুখ পরিষ্কার করতে হবে
2. বেসন দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করা, যেমন:
- বেসন ও লেবুর ফেসপ্যাক
- বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক
- বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক
- বেসন ও কফির ফেসপ্যাক
3. বেসনের তৈরি ফেসপ্যাক মুখে লাগাতে হবে
4. ফেসপ্যাক শুকানো পর্যন্ত ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে
5. ঠিকমতো শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে
এইভাবে নিয়মিত সপ্তাহে ২-৩ বার মুখে নিয়মিত বেসন ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের
যত্নে বেসন খুবই উপকারী। তবে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনাকে বেসন মাখার
প্রণালী গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে হবে।
বেসন দিয়ে মুখ পরিষ্কার
বেসন দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে অনেক উপকারিতা রয়েছে। বেসন ত্বকের ময়লা দূর করতে
এবং অতিরিক্ত তেল অপসারণ এর সাহায্য করে। তাই বেসনের ফেসপ্যাক সপ্তাহে নিয়মিত
২-৩ বার ব্যবহার করলে ব্রণ ও দাগ ছোপ সব দূর হয়ে যাবে।টক দই সঙ্গে বেসন ও এক
চিমটি হলুদ মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগান। শুকিয়ে গেলে ভিজে তোয়ালে দিয়ে মুখ
পরিষ্কার করুন। এই ফেসপ্যাক ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি ট্যানও দূর করে দেবে। তাই
বেসন হচ্ছে মুখ পরিষ্কার করার প্রাকৃতিক উপাদান।
বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক
ফর্সা, দাগহীন ও উজ্জ্বল ত্বক চান? তাহলে জেনে নিন কিভাবে বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক
তৈরি করবেন।
প্রয়োজনীয় উপাদান
- ২ চামচ বেসন
- ২ চামচ মধু
- ১ চামচ গোলাপ জল অথবা পানি
- ১/২ (হাফ) চামচ লেবুর রস
তৈরির ধাপ
একটি পরিষ্কার বাটিতে সবগুলো উপাদান একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশাতে হবে। সব
উপাদান মিশে স্মুথ পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। মুখ পরিষ্কার করার পর ফেস প্যাকটি মুখে লাগান।
ফেসপ্যাক টি মুখে লাগানোর পর
১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ১৫-২০ মিনিট পর ভালো পানি দিয়ে মুখ
পরিষ্কার করে ফেলুন।
বেসন ও লেবুর ফেসপ্যাক
লেবু হাইপারপিগমেন্টেশন, ব্রণ, ট্যান, বলিরেখা কমাতে লেবু খুবই কার্যকারী
উপাদান। লেবুর রস সরাসরি লাগালে ত্বক মারাত্মক জ্বালা করতে পারে। তাই লেবু
বেসনের সঙ্গে মিশ করে ফেসপ্যাক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
শুস্ক ও প্রাণহীন ত্বক,
কালো দাগ, ব্রণ এবং দাগ দূর করতে বেশ উপকারি। এছাড়াও মুখের ছোট ছোট লোম দূর
করতেও এটি খুব কার্যকারী। বেসন একটি প্রাকৃতিক স্ক্রাব, যা ত্বকে মরা চামড়া
পরিস্কার করতে পারে।
প্রয়োজনীয় উপাদান
- ১ চামচ বেসন
- ১ চামচ চালের গুড়া
- ১/২ (হাফ) চামচ লেবুর রস
- ১/২ (হাফ) চামচ নারিকেল তেল
- পরিমাণ মতো গোলাপ জল অথবা পানি
তৈরির ধাপ
একটি পরিস্কার বাটিতে সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিশেয়ে নিন। তারপর এই ফেসপ্যাক টি
মুখে ও গলায় ১৫-২০ মিনিট রেখে ভালো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক ট্যান
কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও দাগ-ছোপ এবং ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।
বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক একটু বহুল পরীক্ষিত একটি উপাদান।
যা আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি ট্যানিং দূর করতে সাহায্য করে।
এই
প্যাকটি আপনার মুখের হারানো আভা পুনরুদ্ধার করে এবং একক ব্যবহারের ফলে ত্বককে
উজ্জ্বল করে তোলে। তবে আসুন জেনে নিই বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম।
প্রয়োজনীয় উপাদান
- ২ চামচ বেসন
- ১/২ ( হাফ) চামচ হলুদ গুড়া
- ১/২ (হাফ) চামচ লেবুর রস
- পরিমাণ মতো গোলাপ জল অথবা পানি
তৈরির ধাপ
একটি পরিষ্কার পাত্রে এই উপাদান গুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঘন পেস্টে
পরিণত হয়ে গেলে তা মুখে লাগান। তারপর ১৫-২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে তা পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের ওপর প্রাকৃতিক
এক্সপ্লয়েডোর হিসেবে কাজ করবে।
বেসন ও কফির ফেসপ্যাক
বেসন ও কফির ফেসপ্যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং মরা চামড়া অপসারণ এবং ত্বক
মসৃণ এবং কোমল করতে সাহায্য করে। বেসন ও কফির ফেসপ্যাক একটি কার্যকরী ও বহুল
প্রচলিত একটি ফেসপ্যাক। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক বেসন ও কফির ফেসপ্যাক কিভাবে
বানাতে হয়।
প্রয়োজনীয় উপাদান
- ১ চামচ বেসন
- ১/২ (হাফ) চামচ কফি
- ১ চামচ টক দই
- ১ চামচ নারিকেল তেল
তৈরির ধাপ
উপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন।তারপর
সেই পেস্ট পুরো মুখে লাগান। তারপর ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে
নিন। এইভাবে সপ্তাহ ২-৩ বার লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং দাগ দূর
হয়।
বেসনের ফেসপ্যাক উপকারিতা
ত্বকের জন্য বেসন খুবই উপকারী একটি উপাদান। ত্বকের যত্নে বেসন খুবই কার্যকরী।
বেসন ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ।
তাছাড়া বেসনের সঙ্গে
লেবুর রস, কফি, হলুদ এবং মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে তা ত্বকে বা মুখে
ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ত্বকের সমস্যা গুলো দূর হয়।তাই বলা
যায় বেসনের ফেসপ্যাক উপকারিতা রয়েছে। তবে আসুন বেসনের ফেসপ্যাক উপকারিতা আরও
বিস্তারিত জেনে নিন। যেমন:
- ত্বক পরিষ্কার ও গ্লো বাড়ানো
- ডেড সেল অপসারণ
- অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ
- এন্টি- এজিং গুণ
- পিম্পল ও ব্রণের সমস্যার সমাধান
- ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে
- ত্বককে টানটান রাখা
- ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা
তাই সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক উপকারিতা হয়।
মুখে বেসন মাখার অপকারিতা
বেসন ত্বকের জন্য উপকারী হলেও মুখে বেসন মাখার অপকারিতা রয়েছে। বেসন যদি আপনি
ত্বকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার না করেন তাহলে সেক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিতে
পারে। নিচে মুখে বেসন মাখার অপকারিতা গুলো উল্লেখ করা হলো।
- ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
- অ্যালার্জি সমস্যা
- অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েশন
- অতিরিক্ত ত্বক টান টান করা
- ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ
তাই মুখে বেসন মাখার আগে অবশ্যই আপনাকে এটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের
ধরন অনুযায়ী আপনাকে এটি মুখে মাখতে হবে। আপনার ত্বক শুষ্ক থাকলে বেসনের সঙ্গে
মধু, দুধ বা নারিকেল তেল মিশিয়ে মুখে বা ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন।
অ্যালার্জি সমস্যা থাকলে ব্যবহার না করাই উচিত। তবে অবশ্যই বেসন ব্যবহার করার
ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে, প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বেসন দিয়ে রূপচর্চা। বেসন দিয়ে ত্বকের যত্ন নেয়া একটি কার্যকরী মধ্যম। স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় অন্যতম।
স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে বেসন সাহায্য করে। তাছাড়া বেসন দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগলে মুখের ব্রণ,কালো দাগ, রোদে পোড়া দাগ, ফুসকুড়ি এবং তেল তেল ভাব কমতে সহায়তা করে।
তাই আপনি যদি স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো খুঁজে থাকেন তাহলে বেসনের ফেসপ্যাক সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক মসৃণ এবং কোমল হবে।
অতএব, আজকের এই আর্টিকেল টি পড়ে আপনার যদি উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে আর্টিকেলটা শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ 🤎
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url