সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা ২০২৪
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা ২০২৪ - সৌদি আরবে আসতে কত টাকা লাগে, সৌদিতে কোন কাজের বেতন কত টাকা? আপনি যদি সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসা নিয়ে আসতে চান তাহলে মোট তিনটা সিস্টেমে আপনি আসতে পারবেন! মালিক ভিসা, সাপ্লাই কোম্পানি ভিসা অর্থাৎ যে কোম্পানির ভিসাতে আপনি সৌদি আরবে আসবেন ওই কোম্পানির মাধ্যমে আপনি যদি কাজ না করেন এটাকে বলে সাপ্লাই কোম্পানি ভিসা,
তারপর হচ্ছে
ডাইরেক্ট কোম্পানি ভিসা অর্থাৎ ওই কোম্পানিতে যদি আপনি কাজ করেন তাহলে
ওইটাকে বলে ডাইরেক্ট কোম্পানি ভিসা। কিন্তু বর্তমানে আপনি যদি সৌদি
আরবে আসতে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ভিসা করে আসতে হবে।
তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা ২০২৪?
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে কাতার যেতে কত টাকা লাগে - কাতার ভিসার দাম কত টাকা
সূচিপত্রঃ সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা ২০২৪
- সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা ২০২৪
- সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
- সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা চেক ২০২৪
- সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
- সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার ধরন
- সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ
- সৌদি আরবে কর্মজীবনের পরিবেশ
- শেষ কথা
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা ২০২৪
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা অনেকেই সঠিক তথ্য জানেন না। আপনি
যদি সঠিক ভাবে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যেতে পারেন সে
ক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে সর্বোচ্চ হলে ১৫০০ থেকে ২০০০ রিয়াল যা বাংলাদেশি
টাকায় ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা ।
এর প্রধান কারণ হলো যারা সৌদি আরবে সঠিকভাবে কোম্পানি ভিসা নিয়ে যায় তাদের
সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ও অসুবিধা কোম্পানি বহন করে। মূলত এই কারণে সৌদি আরবের
কোম্পানি ভিসার বেতন কম। কিন্তু সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি।
আপনি যদি সঠিক উপায়ে কোম্পানি ভিসা নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনি অনেক ধরনের সুযোগ
সুবিধা পাবেন। বর্তমানে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে আসলে থাকার সুযোগ
সুবিধা দেওয়া হয় এবং কিছু কিছু কোম্পানি আবার খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয় কোম্পানি ভিসায় যারা সৌদি আরবে আসে। আর বেতনও বেশ
ভালো হয়ে থাকে। আর আপনি যদি একটু বেশি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এর থেকে আরো বেশি
বেতন পাবেন এটা নিশ্চিত থাকুন।
আর আপনি যদি বেসরকারি কোন কোম্পানি ভিসায় যান তাহলে আপানার বেতন একটু কম হবে ।
তাছাড়া সুযোগ সুবিধাও অনেক অংশে কম পাবেন। বেসরকারি কোম্পানি ভিসায় আপনি যদি আসেন
তাহলে ওভার টাইম দিয়ে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা ইজিলি ইনকাম করতে
পারবেন। আপনি যেই মাধ্যম দিয়েই আসেন না কেনো আপনাকে কর্মঠ হতে হবে। তাহলে আপনি
সৌদি আরবে এসে ভালো কিছু করতে পারবেন।
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন! সৌদি আরবে যদি আপনি
একবার সঠিক নিয়মে আসতে পারেন তাহলে তাহলে আপানার বেতন নিয়ে বেশি ভাবতে হবে না।
আপনি এখানে সর্বনিম্ন বেতন ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু হবে। আর আপনি যদি
পেশাজীবী ভিসায় আসেন তাহলে আপানার বেতন ১ লাখ টাকা থেকে শুরু হবে।
তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি।
- গাড়ির ড্রাইভার
- ক্লিনার
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ওয়ার্কার বা শ্রমিক
- হোটেল রাঁধুনি
বর্তমানে সৌদি আরবে এই সকল কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই সৌদি আরব আসার আগে
আপনি এই কাজের দজ্ঞতা অর্জন করুন। বেশি বেশি মনোযোগ সহকারে কাজগুলো শিখলে
বিদেশে গিয়ে ভালো কিছু করতে পারবেন।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা চেক ২০২৪
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা খুব সহজে চেক করা যায়। বর্তমানে সকল কার্যকলাপ
অনলাইনে হওয়ার ফলে এইসব জিনিসগুলো আরো সহজ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র একটি
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা চেক করতে পারবেন।
গুগলে গিয়ে সার্চ বক্সে
Saudi visa Check লিখে সার্চ করলেই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার অ্যাপ্লিকেশন ইনভয়েস
নাম্বার,
পাসপোর্ট
নাম্বার আর জম্ম তারিখ দিলেই ভিসা চেক করে নিতে পারবেন।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের একটি ক্ষমতাধর এবং উন্নত দেশ। দেশটিতে প্রতিবছর
বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী শ্রমিক নিয়ে থাকে। যেহেতু দেশটি উন্নত
রাষ্ট্র সেহেতু সেখানে নিম্ন শ্রেণীর কাজগুলো সেই দেশের জনগণ করতে চায় না।
সেই সুবাদে এই কাজগুলো অন্যান্য দেশের জনগণের মাধ্যমে করিয়ে নেওয়া হয়। আর
সৌদি আরবে যারা কাজ করতে চায় তাদেরকে প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে ধরা হয়। এজন্য
সৌদি আরবে তুলনামূলক যে কাজে চাহিদা বেশি রয়েছে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
- ইলেকট্রনিকের কাজ
- প্লাম্বার
- ওয়ার্ক শপের কাজ
- গাড়ির ড্রাইভার
- সৌদি আরবে অটোমোবাইলের কাজ
- এসি টেকনিশিয়ানের কাজ
- ক্লিনার করা
- সৌদি আরবের ওয়েল্ডিং এর কাজ
- রেস্টুরেন্ট এর কাজ
তাহলে ধরে নেওয়া যায় উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে
সৌদি আরবে আপনি খুব ভালো বেতন পাবেন। তাছাড়া ওভারটাইম মিলিয়ে আরেকটু বেশি
ইনকাম করতে পারবেন।
সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার ধরন
সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসা তিন ধরনে হয়ে থাকে। আপনি যেই ভিসার মাধ্যমেই আসেন না
কেন সকল ক্ষেত্রেই ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া এক। এক নজরে সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার
ধরন গুলো দেখে নিন।
- মালিক ভিসা
- সাপ্লাই কোম্পানি ভিসা
- ডাইরেক্ট কোম্পানি ভিসা
আপাতত সৌদি আরবের জন্য এই তিন ধরনের কোম্পানি ভিসা চালু আছে। আপনি এর মধ্যে
যেকোনো একটি ভিসা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৌদি আরবে যেতে পারেন।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ বর্তমানে একেক ক্ষেত্রে একেক রকমের হয়ে থাকে।
আপনি যদি সরাসরি সরকারি কোনো কোম্পানির মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিতে পারেন সেই
ক্ষেত্রে আপানার ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা লাগবে।
আর আপনি যদি দালাল বা অন্য কোনো এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায়
যেতে চান তাহলে আপনাকে আলাদা করে আরও ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা বেশি খরচ করতে হবে।
এক কথায় মোট ৭ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা লেগে যাবে।
তাই সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায় যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করে থাকলে সবসময় চেষ্টা
করবেন সরকারি কোন এজেন্সির মাধ্যমে। এতে করে আপনি প্রতারিত হওয়া থেকে বেঁচে
যাবেন।
আর এর পরেও যদি সরকারি এজেন্সি না পান তাহলে দেখে শুনে বিশ্বস্ত এজেন্সির
মাধ্যমে যাওয়ার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
সৌদি আরবে কর্মজীবনের পরিবেশ
সৌদি আরবে কর্মজীবনের পরিবেশ ভালো হবে যদি আপনি সঠিক ভাবে সৌদি আরবে আসেন। সঠিক
মাধ্যমে কোম্পানি ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে আসলে আপানার কাজের জন্য কোন অভাব
হবে না। আপনি আপনার দক্ষতা দিয়ে কাজ করার মাধ্যমে ভালো রকমের ইনকাম করতে
পারবেন।
সৌদি আরবে আপনি যদি কর্মঠ বা পরিশ্রমী হতে পারেন তাহল্লে সৌদি আরব আপানার জন্য
ভালো চয়েস। এখানে আপনি ওভার টাইম করেও ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন। তাই বলা
যায় সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায় আপনি আসলে আপনার কর্মজীবন সুন্দর হবে বলে আশা করা
যায়।
শেষ কথা
পরিশেষে একটা কথায় বলতে চাই, আপনি যদি কর্মঠ এবং পরিশ্রমী হয়ে থাকেন তাহলে
সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক
বেতন পেয়ে যেতে পারেন। আর সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায় বেতন সর্বনিম্ন ৪০ হাজার
টাকা থেকে শুরু হয়।
তাই বলা যায় আপনি যদি নিজেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে
পারেন তাহলে আপনি এর থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি সেখানে
ওভার টাইম জব করতে পারবেন ।এতে করে আরও বাড়তি আয় করতে পারবেন।
তাই যদি সৎ কাজের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায় যেতে
পারেন। ধন্যবাদ💗
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url