ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের সঠিক ১০টি কার্যকারী নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম অনেকে অনেক ভাবেই করে থাকেন। আর আপনি যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় না জেনে থাকেন তাহলে এটি আপানার অনেক কজে দিবে। বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই চাই আমাদের যেন দেখতে সুন্দর লাগে।
আমাদের চেহারাটা যেন ভালো লাগে। চেহারার মধ্যে যেন বয়সের ছাপ না পড়ে আর আমারাদের
সবসময় যেন ইয়াং লাগে। আর এই ত্বকের সমস্যার জন্য সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকারী
জিনিসটি হচ্ছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন ই ক্যাপসুল
মুখে ব্যবহারের সঠিক ১০টি কার্যকারী নিয়ম।
সূচীপত্রঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের সঠিক ১০টি কার্যকারী নিয়ম
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল কি
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেন ব্যবহার করব
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- তৈলাক্ত ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয়
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল দাম কত ২০২৪
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
- শেষ কথা
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কি
ভিটামিন ই ক্যাপসুল হচ্ছে এক ধরনের ভিটামিন। ভিটামিন ই মূলত
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের
ভিটামিনের অভাব থাকে। ডাক্তার যখন আপনার সমস্যা দেখে বুঝতে পারেন আপনার শরীরে
ভিটামিন ই এর অভাব রয়েছে তখন ডাক্তার আপনাকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এই ধরনের
ঔষুধ সাজেস্ট করে থাকেন।
এই ওষুধটি মূলত ভিটামিনের অভাব পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
তাছাড়া গর্ভাবস্থায় অথবা বাচ্চাকে যারা মায়ের দুধ খাওয়াচ্ছেন মানে
ব্রেস্ট মিল খাওয়াচ্ছেন তাদের যদি দুধ সেক্রেশন বা দুধ কম পেয়ে থাকে তখনও
কিন্তু এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল টি সাজেস্ট করে থাকেন। তাছাড়া ছোট বাচ্চাদের
ভিটামিন ই এর অভাব দেখা দেয় তখনও ডাক্তার এই ওষুধটি সাজেস্ট করে
থাকেন।
তাছাড়া বয়স্কদের ক্ষেত্রে যাদের ঠান্ডা জনিত কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা
হয়ে থাকে ডাক্তার এই কারণেও এই ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি সাজেস্ট করে থাকেন।
ভিটামিন ই এর আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেমন ক্যান্সার হলে, ওর্থাইটিক্স পেইন
হলে ভিটামিন ই এর অভাব থাকলে অথবা যারা স্পোর্টস এর সঙ্গে জড়িত তাদের যদি
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ থাকে তাহলে তাদের খেলার পারফরমেন্স বৃদ্ধি করে।
মূলত এই ধরনের সমস্যার জন্য ভিটামিন ই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া এর আরো
উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হচ্ছে আপনার যদি ত্বকের সমস্যা হয়ে থাকে বা চুলের
সমস্যা অর্থাৎ চুল ফেটে যাচ্ছে বা ভেঙ্গে যাচ্ছে বা উঠে যাচ্ছে এই ধরনের
ক্ষেত্রেও এই ভিটামিন ই কাজ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম
তবে এখানে আপনাকে একটি কথা বলে রাখতে চাই এই একটি ঔষুধ যে আপনাকে
সবকিছু ভালো করে দেবে বিষয়টি তেমন না। আপনার সমস্যার উপর ভিত্তি করে ডাক্তার
আরো কিছু ঔষুধ দিতে পারে। তাই বলা যায় ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি ত্বক ও
চুলের সমস্যা বাদেও আরো অন্যান্য কিছু কারণে ডাক্তার সাজেস্ট করে
থাকেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহার করার পূর্বে প্রথমেই আপনার মুখটি ভালোভাবে
ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর এটি মুখে ব্যবহার করতে হবে। আপনার
মুখ যদি নোংরা অথবা তেলতেলে ভাব থাকে তাহলে এটি মোটেও ভালো কাজ করবে না উল্টে
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই ভিটামিন ই মুখে
ব্যবহারের পূর্বে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে তার শুকনো কাপড় দিয়ে মুখ
মুছে নিতে হবে। নিচে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
দেওয়া হল
- প্রথমে ই ক্যাপ ক্যাপসুল টি প্যাকেট থেকে খুলে নিতে হবে।
- তারপর একটি সেফটিপিন বা অন্য কোনো কিছু দিয়ে ই ক্যাপ ক্যাপসুল টি ছিদ্র করতে হবে।
- এখন ক্যাপসুলদের ভিতরে থাকা জেল বা তরল পদার্থটি একটু চাপ দিয়ে বের করে নিতে হবে।
- এরপর আপনি চাইলে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু, গোলাপ জল, লেবুর রস, টক দই, এলোভেরা অথবা হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
- আবার আপনি চাইলে শুধু ক্যাপসুলে থাকা জেল বা তরল পদার্থটি ব্যবহার করতে পারেন।
উপরোক্ত নিয়মে আপনাকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহার করতে হবে। আর আপনাকে
প্রতিবার এই ক্যাপসুল ব্যবহারের পরে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে
নিতে হবে। আর ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি রাতে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া
যায়। তাই চেষ্টা করবেন ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি রাতে ব্যবহার করার।
আর আপনাকে অবশ্যই এই নিয়ম মেনে কমপক্ষে এক থেকে দুই সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার
করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি এর ফলাফল খুব দ্রুত দেখতে পারবেন। আর
যখন দেখবেন আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সকল ধরনের দাগ এবং
ফুসকুড়ি এগুলো কমে গেছে তখন আপনাকে এটি ব্যবহার করা কমিয়ে দিতে হবে।
সেই ক্ষেত্রে আপনাকে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল সপ্তাহে এক বা দুই দিন ব্যবহার করতে
হবে। রেগুলার ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই
অতিরিক্ত ব্যবহার না করে সতর্কতা অবলম্বন করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহার
করা আপনার জন্য ভালো হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেন ব্যবহার করব
আমাদের অনেকেরই মনে অনেক প্রশ্ন থাকে, এই ক্যাপসুলটি আমরা কেন ব্যবহার করব? এই
ভিটামিন ই ক্যাপসুল শুধু কি একটা ফর্সা বা উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্যই ব্যবহার
করব নাকি এর মধ্যে আরো অনেক উপকারী দিক আছে? তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন ই
ক্যাপসুল ব্যবহারের উপকারী দিকগুলোঃ
- এটা মুখের মধ্যে যে বলিরেখা থাকে বা চোখের নিচে যে বলিরেখা থাকে তা দূর করতে সাহায্য করে।
- চোখের নিচে আমাদের যে কালো দাগ থাকে বা ডার্ক সার্কেল থাকে, যা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে সেই কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বিশেষভাবে সহায়তা করে।
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল টি ত্বকের সিরাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- ঠোঁট ফাটা হিসেবে বা ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে লিপ বাম হিসেবে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
- মুখের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে এছাড়া পুরাতন ব্রনের দাগও ধীরে ধীরে দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বহুগুনে বাড়িয়ে দেয় এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
- তাছাড়া ভিটামিন ই আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করতে সহায়তা করে এবং ফাটা চুল রোধ করে।
ত্বকের জন্য ভালো ফলাফল পেতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার
করতে হবে। কারণ ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি বেশি ব্যবহার না করাই আপনার জন্য ভালো।
আমরা যদি সঠিক নিয়মে ভিটামিন ই ব্যবহার করি তাহলে আমাদের উপরোক্ত সমস্যাগুলো
খুব সহজেই সমাধান হয়ে যাবে। আমরা অনেকেই হয়তো না বুঝে শুনে ত্বকের বিভিন্ন
ধরনের ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করি যেটি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
আর আমরা যদি এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মধ্যে থাকা তরল পদার্থ টি সঠিকভাবে
আমাদের ত্বকে ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের উপরোক্ত সমস্যাগুলো খুব সহজেই
সমাধান করা সম্ভব। তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা উচিত।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এটি এমন একটি ভিটামিন যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং
যৌবন ধরে রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। তাছাড়া যাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা
রয়েছে। যেমনঃ ব্রণ ,কালো দাগ, চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল, মুখে মধ্যে ফুসকুড়ি
সহ ত্বকের সবধরনের সমস্যার কার্যকরী সমধান হচ্ছে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
আপনি যদি এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল টি নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলেই এর
ফলাফল খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। আপনাকে এই ভিটামিনটি সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে
হবে। এই ভিটামিন ই ক্যাপসুলে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের সবধরনের
সমস্যার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
তৈলাক্ত ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা, যে তৈলাক্ত ত্বকে ভিটামিন ই এর ব্যবহার আসলে কেমন হবে?
আর আমাদের যাদের তৈলাক্ত ত্বক তারা কি এই ক্যাপসুলটি ত্বকে ব্যবহার করতে পারব কি
পারব না সেটা নিয়েও থাকে অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব। ভিটামিন ই ত্বকের জন্য যেমন
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে তেমনি এর ব্যবহার সঠিকভাবে না করলে নানা ধরনের সমস্যার
সম্মুখীন হতে হয়।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হচ্ছে আমাদের যাদের ত্বক তৈলাক্ত। তারা এই
ভিটামিন ই ক্যাপসুলটির ভেতরের তরল পদার্থটি সরাসরি না ব্যবহার করে কিছু নির্দিষ্ট
উপায়ে ব্যবহার করলে একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
তাই আপনাদেরকে সবসময় মনে রাখতে হবে আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে আপনি
সরাসরি এই ভিটামিন টি ব্যবহার না করে কিছু বিকল্প উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন।
যেটি করলে আপনার ত্বকের যে সমস্যাগুলো ছিল সে সমস্যাগুলো দ্রুত কমে যাবে।
তাই বলে রাখা ভালো আপনি যদি ভিটামিন ই তৈলাক্ত ত্বকে বা মুখে ব্যবহার করতে
চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভিটামিন ই এর সঙ্গে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু, গোলাপ জল,
লেবুর রস, এক চিমটি হলুদ, এবং এলোভেরা জেল মিশ্রণ করে একটি ক্রিম বানাতে পারেন।
এতে করে আপনার অনেক লাভ হবে। কারণ পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু এবং লেবুর রস ত্বকের
মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ক্ষতিকর কোষ কে ধ্বংস করে নতুন কোষ গঠনে
সহায়তা করে।
এর মাধ্যমে আপনার ত্বকের যে দাগ যুক্ত এবং খারাপ ও ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো থাকে
সেইগুলো আবার নতুন করে তৈরি হয়। এতে করে ত্বক আরো উজ্জ্বলতা লাভ করে। আপনি চাইলে
এই মিশ্রণটি আপনার পুরো শরীরে ব্যবহার করতে পারেন। পুরো শরীরে ব্যবহার করার ফলেও
কোন ধরনের ক্ষতি হবে না।
এই মিশ্রণটি খুব দ্রুত আপনার শরীরের সঙ্গে খাপ খাইয়ে যাবে। এতে করে আপনি যদি এটি
নিয়মিত এক দুই সপ্তাহ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন দাগ ও মুখের ও
ত্বকের বিভিন্ন দাগ, ব্রণ ব্রণের দাগ খুব দ্রুতই কমে যাবে।
তাই আপনি যদি এই নিয়মে আপনার তৈলাক্ত ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে
পারেন তাহলে এটি আপনার ত্বকের কোন ক্ষতি করবে না উল্টে আপনি অনেক ভাল একটি ফলাফল
পাবেন। যার মাধ্যমে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা আরো বহু গুণে বৃদ্ধি পাবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল হচ্ছে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ভিটামিন। যেটি
আমাদের শরীরের উজ্জ্বলতা ও যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া ভিটামিন ই
ক্যাপসুল খেলে আমাদের শরীরের নানা ধরনের সমস্যাগুলো দূর হয়।
তাছাড়া এই ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের দাগ, ব্রণের দাগ, মুখের
ফুসকুড়ি, কালো দাগ ও পোড়া দাগ এবং কাটা দাগের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।
তাছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে যাদের বিভিন্ন ধরনের হার্টের সমস্যা ও ক্যান্সার
জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের সমস্যাগুলো কিছুটা হলেও কমে।
তাছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের চুলের গোড়া ও ফাটা চুলের
সমস্যা দূর হয়। তাই চুল জনিত সমস্যার জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল টি একটি কার্যকরী
উপাদান। তাছাড়া ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যাগুলোও
ভিটামিন-ই ক্যাপসুলটি খাওয়ার মাধ্যমে দূর হয়। তাই ডাক্তাররা অনেক সময় ছোট
বাচ্চাদের ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি সাজেস্ট করে থাকেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন
করতে হবে। কারণ ডাক্তার যদি মনে করে আপনার ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বক বা শরীরে নানা
ধরনের সমস্যা হচ্ছে তাহলে ডাক্তার আপনাকে ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি সাজেস্ট করে
থাকবেন।
আর এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আপনি যদি খেতে চান তাহলে
আপনাকে অবশ্যই 18 বছরের নিচে হলে 200 IU একটি করে রাতে খাবার পর খেতে হবে।
আর আপনার
বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি দৈনিক রাতে খাবারের পর 400
IU একটি ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেতে পারেন। এর বেশি আপনার এই ক্যাপসুল খাওয়া উচিত
না।
আর আপনাকে আরো একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে এ ওষুধটি আপনাকে নির্দিষ্ট সময় পর
গিয়ে বাদ দিয়ে দিতে হবে। কারণ রেগুলার এই ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক
হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। তাই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট
পরিমাণে এই ক্যাপ ক্যাপসুলটি সেবন করার পরামর্শ রইলো।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বা শর্ত রয়েছে। এই ভিটামিন ই
ক্যাপসুল শিশুদের ক্ষেত্রে একরকম মধ্য বয়সীদের জন্য একরকম এবং বয়স্কদের জন্য
একরকম খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। এ ক্যাপসুলটি যখনি খাবেন খাওয়ার পূর্বে বিশেষজ্ঞ
কোন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধটি খাবেন।
ওষুধটি খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে । বিশেষ করে এই ওষুধটি আপনাদের রাতে খাবারের পর
ভরা পেটে একটি করে খেতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়স হলে দৈনিক একটি করে 200 IU একটি
ক্যাপসুল এবং মধ্যবয়সী দের জন্য 400 IU ক্যাপসুল রাতে একটি করে খেতে হবে।
আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এই ওষুধটি একদম নিয়মিত খাওয়া যাবেনা। ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনাকে এ ওষুধটি সেবন করতে হবে।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার বাচ্চাকে যতটুকু
দরকার ততটুকু খাওয়াতে হবে।
বেশি পরিমাণে ভিটামিন ই খাওয়ানো বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে
দাঁড়াবে। আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডাক্তার অনেক সময় 200 IU এবং 400 IU ঔষুধ
সাজেস্ট করে থাকেন। ঔষধ যেটাই সাজেস্ট করেন না কেন তাদেরকেও রাতে একটি করে এই
ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এই ওষুধটি ত্বকের জন্য ও শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ভিটামিন। তাই বলা যায়
আপনি যে ওষুধে খান না কেন সেটি আপনাকে নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খেতে
হবে অতিরিক্ত কোন জিনিস খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ভালো না।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো
ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন নামে ঔষধের দোকানে পাওয়া যায়।
তাছাড়া কোম্পানি ভেদে এই ওষুধের দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। আপনি যেই কোম্পানির এই
ঔষধ নেন না কেন আপনাকে অবশ্যই ভালো কোম্পানি দেখে এবং ওষুধের মেয়াদের তারিখ দেখে
ওষুধ কেনা উচিত।
মূলত ভিটামিন ই ক্যাপসুলটির সবগুলোরই কাজ একই এবং একই উপাদান ব্যবহার করে এই
ক্যাপ ক্যাপসুলটি বাজারজাত করা হয়। তাই আপনি যেই ক্যাপসুল টাই নেন না কেন সব
সময় চাইবেন আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যাপসুল টি কেনার। তাছাড়া
আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে বেশ কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নাম উল্লেখ করা
হলোঃ
- E-Cap 400 Capsule (400 IU) - Drug International Ltd.
- Evit 400 Capsule (400 IU) - Square Pharmaceuticals Plc.
- Lifil-E 400 Capsule (400 IU) - The ACMC Laboratories Ltd.
- Nature-E 400 Capsule (400 IU) - Unimed Unihealth pharmaceuticals Ltd.
- Ovit-E 400 Capsule - (400 IU) - Opsonin Pharma Limited.
- E-Gel Ds 400 Capsule (400 IU) - Renata Limited.
- E-Gold 400 Capsule (400 IU) -Rangs Pharmaceuticals Ltd.
- Evitacap 400 Capsule (400 IU) - Ziska Pharmaceuticals Ltd.
- Ecovit 400 Capsule (400 IU) - Globe Pharmaceuticals Ltd.
- E-Soft 400 Capsule (400 IU) - Pacific Pharmaceuticals Ltd.
- Inovit E 400 Capsule (400 IU) - Incepta Pharmaceuticals Ltd.
- E-Fill 400 Capsule (400 IU) - General Pharmaceuticals Ltd.
- Vegecap 400 Capsule (400 IU) - NIPRO Pharma Limited.
উপরোক্ত ভিটামিন ই ক্যাপসুলগুলো বাংলাদেশের বাজারে বেশ জনপ্রিয়। মানুষ সাধারণত
এই ক্যাপসুলগুলো কিনে থাকেন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দের কোম্পানির ওষুধটি কিনে
আপনি খেতে পারেন। আপনি যেটাই কিনে খান না কেন সবগুলো একই কাজ করবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দাম কত ২০২৪
ভিটামিন ই ক্যাপসুল বাংলাদেশের বাজারে কোম্পানি অনুযায়ী বিভিন্ন দামের হয়ে
থাকে। আপনি যেটি নেন না কেন আপনাকে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল টি ওষুধের দোকান থেকে
ক্রয় করতে হবে। আপনি সব সময় চেষ্টা এটি ঔষধের দোকান থেকে কেনার। তবে চলুন নিচে
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কত দাম তা জেনে নেওয়া যাক।
- E-Cap 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১৫টি) ৳ ১০৫ টাকা।
- Evit 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ১০০ টাকা।
- Lifil-E 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ৬০ টাকা।
- Nature-E 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ৭০ টাকা।
- Ovit-E 400 Capsule - (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ৬০ টাকা।
- E-Gel Ds 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ৬০ টাকা।
- E-Gold 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ৬০ টাকা।
- Evitacap 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ৭০ টাকা।
- Ecovit 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ৬০ টাকা।
- E-Soft 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ৬০ টাকা।
- Inovit E 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ৬০ টাকা।
- E-Fill 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ৬০ টাকা।
- Vegecap 400 Capsule (400 IU) - (১পাতা ১০টি) ৳ ৭০ টাকা।
উপরের উল্লেখিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম গুলো ২০২৪ সালের জুন মাসের মার্কেটের
দাম অনুযায়ী প্রদান করা হলো। আপনি হয়তো কিনতে গেলে পাঁচ থেকে দশ টাকা কমেও
পেতে পারেন আবার বেশি দামেও পেতে পারেন এটা ওষুধের বাজারের উপর নির্ভর করে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে আপনি চাইলে নাইট ক্রিম খুব সহজেই ঘরে বসে বানাতে
পারবেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম বানালে আপনি সেটি রাতে মুখে
ব্যবহার করতে পারবেন এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারবেন। বর্তমানে অনেকে অনেক
ভাবেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম বানিয়ে থাকে।
যে যেভাবেই বানিয়ে থাকুক না কেন আমাদের সকলেরই একটা লক্ষ্য থাকে এটি ব্যবহারের
মাধ্যমে ত্বক ফর্সা করা বা ত্বকের উজ্জ্বলতাকে বৃদ্ধি করা। তাছাড়া এটির
মাধ্যমে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন প্রকারের দাগ ফুসকুড়ি ও নানা ধরনের সমস্যা দূর
করার ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
তাই আপনি যদি ঘরে বসে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম বানাতে চান তাহলে
আপনাকে নিচের নির্দেশিত উপাদান গুলো সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী একটি
সংমিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তবে চলুন জেনে নেয়া যাক কি সেই সংমিশ্রণ বা উপাদান
গুলো।
- প্রথমে আপনাকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সংগ্রহ করতে হবে।
- তারপর আপনাকে নাইট ক্রিম বানানোর জন্য আপনাকে হলুদ গোলাপজল এবং অ্যালোভেরা সংগ্রহ করতে হবে।
- এলোভেরা গোলাপ জল ও হলুদের একটা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।
- তারপর ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মধ্যে থাকা সেই তরল পদার্থগুলো গোলাপজল, পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু, লেবুর রস, হলুদ ও অ্যালোভেরার সঙ্গে ভালোভাবে সংমিশ্রণ করতে হবে।
- তাছাড়া আপনি চাইলে উল্লিখিত কিছু উপাদান বাদ দিয়ে দুই একটি উপাদান দিয়ে এ মিশ্রণটি সম্পন্ন করতে পারেন।
- মিশ্রণটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনি এটিকে কোন ছোট কৌটা বা কাচের ছোট বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে।
উপরোক্ত নিয়মে এই ভাবেই খুব সহজে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে রাতে মুখে বা ত্বকে
মাখার জন্য নাইট ক্রিম বানানো যায়। এই নাইট ক্রিম টি খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন
করে। আপনি যদি এটি একসপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনি মোটামুটি একটি ভালো
ফলাফল পাবেন।
তাই আপনাকে ধৈর্য সহকারে প্রতি রাতে মুখ পরিষ্কার করে এই বানানো নাইট ক্রিমটি
মুখে বা ত্বকে দিতে হবে এবং সকালে তা ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে
নিতে হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার খুবই সহজ। এ ক্যাপসুলটি ব্যবহারের পূর্বে আপনাকে
অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কারণ চিকিৎসক যদি আপনাকে এই ওষুধটি
সাজেস্ট করেন তাহলে আপনি এই ওষুধটি খেতে বা ব্যবহার করতে পারবেন। তাই শুরুতে এই
দিকটি মাথায় রেখে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি ব্যবহার করবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহারের নিয়ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ভিটামিন ই
ক্যাপসুলটি প্রধানত আমাদের শরীরের ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করে। তাছাড়া একেক
বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই একেকভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এই ভিটামিনটি খুবই কার্যকর। এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল টি
ব্যবহারের নিয়ম অনেকগুলো রয়েছে। যেমনঃ
- তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওষুধটি নিয়মিত রাতে খাবারের পরে খাওয়া।
- তারপর দ্বিতীয়ত হচ্ছে এর ভিতরে যেই তরল পদার্থটি রয়েছে সেটি ত্বকে হলুদ গোলাপজল বা নাইট ক্রিমের সঙ্গে মিশ্রণ করে ব্যবহার করা অথবা সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা।
- আবার এটির আরেকটি ব্যবহার রয়েছে চুলের গোড়ালিতে ব্যবহার করলে চুল উঠা অনেকটা কমে যায়।
- তাই আপনাদের পরামর্শ থাকবে আপনাদের যে সমস্যাটি বেশি হচ্ছে সেই সমস্যা অনুযায়ী সঠিকভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি ব্যবহার করার। তাছাড়া ডাক্তার যদি আপনাকে সাজেস্ট করেন তাহলে ডাক্তারই আপনাকে সঠিকভাবে বলে দেবেন যে ক্যাপসুলটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।
তাই পরামর্শ থাকবে ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী এবং সঠিক নিয়মে ব্যবহার করবেন। আর নিয়ম মেনে যদি নিয়মিত
ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন বা ব্যবহার করেন তাহলে একটি ভালো ফলাফল পাবেন।
আরো পড়ুনঃ
ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। কারণ আমাদের শরীরে
ভিটামিনের যেমন প্রয়োজন তেমনি অতিরিক্ত ভিটামিন সেবন বা গ্রহণে নানা ধরনের সাইড
ইফেক্ট দেখা দেয়। যা আমাদের শরীরের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই আমরা সব সময়
চেষ্টা করব ভিটামিন ই ক্যাপসুল সঠিক পরামর্শ সহকারে সেবন করার অথবা ব্যবহার
করার।
যদিও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের উপকারিতাই বেশি এবং অপকারিতা খুবই সামান্য।
তবে দেখে নেওয়া যাক ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা গুলো কি কি আর অপকারিতা গুলো
কি কি!!
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং
কার্যকরী। মানবদেহে শরীরের জন্য ভিটামিন ই অত্যাবশক একটি ভিটামিন। ভিটামিন ই
আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাছাড়া
ভিটামিন ই আমাদের শরীরের তারুণ্য বা যৌবনতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।
আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন মুখে ব্রণ, ফুসকুড়ি, চোখের নিচে
কালো দাগ ও কাটা দাগ ইত্যাদি দূরীকরণে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া আরও লক্ষ্য করে দেখবেন আমাদের মাথার চুল উঠে
যাওয়া এবং মাথার চুল ফেটে যাওয়া এক ধরনের সমস্যা। যেটি কিনা ভিটামিন ই এর অভাবে
হয়ে থাকে।
এই সমস্যাগুলোর জন্য ভিটামিন ই খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। যেটি কিনা আমাদের
শরীরের এই সমস্ত কাজে সহায়তা করে। তাছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল বয়স্ক ও
বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকারী একটি ভিটামিন। তাই বলা যেতে পারে এই ভিটামিনটি যদি
নিয়মিত সাত দিন ব্যবহার করা যায় তাহলেই ভাল রকমের ফলাফল বা উপকারিতা পাওয়া
যায়।
আপনাকে আরও একটি বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে এই ভিটামিন আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময়
পর গিয়ে সপ্তাহে দুইদিন করে ব্যবহার করতে হবে। এর মাধ্যমে ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি
যথাযথ ভাবে আপনার শরীরের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। আর এভাবেই ভিটামিন ই
ক্যাপসুলটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অপকারিতা
ভিটামিন ই ত্বকের জন্য কার্যকরী হলেও এর ক্ষতিকর দিকও লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে
যাদের ত্বক শুষ্ক ও তৈলাক্ত তাদের এই ভিটামিন টি মুখে বা ত্বকে সরাসরি ব্যবহার না
করাই ভালো। কারণ অনেকের ত্বকে এই ভিটামিনটি সহনশীল হয় না। এর ফলে ত্বকে নানা
ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
যেটি কিনা পরবর্তীতে বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই আপনি যদি আগে থেকে একটু
সতর্কতার সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল টি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এটি আপনার জন্য
অনেক ভালো। আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনি যেন সরাসরি
না ব্যবহার করেন।
আপনি চাইলে এটি পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
এর ভেতরে থাকা তরল পদার্থ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার তেমন কোন
ক্ষতি হবে না। এতে করে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা সহ বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর হবে।
তাই আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল যেমন
স্বাস্থ্যের ও ত্বকের জন্য ভালো তেমনি এর সঠিক ব্যবহার না করার ফলে ত্বকের
নানাবিধ সমস্যা হয়। তাই আপনাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই
ক্যাপসুলটি ব্যবহার করতে হবে।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে ভিটামিন ই হচ্ছে এমন একটি ভিটামিন যেটি ত্বক ও মুখের বিভিন্ন
ধরনের সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করে ফেলে। তাছাড়া ভিটামিন ই শরীরের জন্য খুবই
উপকারী। এটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একেক রকম এবং বড়দের ক্ষেত্রে একেক রকমের
কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
আপনার যদি ত্বকে কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী ভিটামিন ই ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আপনি যদি
ভিটামিন ই ত্বকে ব্যবহার করেন বা নিয়মিত সেবন করেন সেটি আপনার জন্য ক্ষতিকর হয়ে
দাঁড়াবে।
তাই আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি খেতে হবে।
অতিরিক্ত এই ক্যাপসুলটির ব্যবহার আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। তাই
আপনার প্রতি এই নির্দেশনা থাকবে আপনি নিজে থেকে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত না নিয়ে
একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি সেবন করবেন বা
ত্বকে ব্যবহার করবেন। ধন্যবাদ 💗
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url