গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা
গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি তা আমারা অনেকেই জানি না। গ্রিন টি এর উপকারিতা রয়েছে অনেক। দিনে কত কাপ গ্রিন টি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো।
সূচিপত্রঃ গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা
- গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা
- গ্রিন টি কখন ও কিভাবে খাবেন
- গ্রিন টি ও ব্ল্যাক টি এর মধ্যে পার্থক্য
- গ্রিন টি এর উপকারিতা
- গ্রিন টি এর অপকারিতা
- উপসংহার
গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গ্রিন টি খেলে কি ধরনের উপকার হচ্ছে বা না খেলে কি হচ্ছে। এই ধরনের নানা রকম প্রশ্ন আমাদের মনের মধ্যে চলে আসে। গ্রিন টি হচ্ছে খুবই উপকারী একটি পানীয়। গ্রিন টি'তে রয়েছে পলিফেনন, ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যামাইনো এসিড ও থিয়ানিন এবং এর পাশাপাশি আরো অনেক উপাদান রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
গ্রিন টি কখন ও কিভাবে খাবেন
আমাদেরকে প্রথমেই মনে রাখতে হবে গ্রিন টি সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে খাওয়া যাবেনা। এতে করে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।গ্রিন টি সাধারণত খাবার এক ঘণ্টা পরে খেলে ভালো হয়। যেমন সকাল দুপুর বা রাতের খাবারের এক ঘন্টা পরে যদি গ্রিন টি খাওয়া হয় তাহলে সেটা খুব ভালোভাবে ডাইজেস্ট হয়। একটা ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।
আর যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে আপনি মধ্য সকালে গ্রিন টি খেতে পারেন অথবা বিকেলের নাস্তায় আপনি গ্রিন টি রাখতে পারেন। দিনে ৩/৪ কাপের বেশি গ্রিন টি না খাওয়ায় ভালো। তাছাড়া যদি আপনার ঘুমের সমস্যা না হয় বা অন্য ধরনের কোন প্রবলেম না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই রাতেও আপনি খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ স্মার্ট মোবাইল ফোন কেনার আগে যেসব বিষয়ে জানা দরকার
গ্রিন টি ও ব্ল্যাক টি এর মধ্যে পার্থক্য
গ্রিন টি ব্ল্যাক টি মূলত একই চা পাতা থেকে হয়ে থাকে কিন্তু সংরক্ষণে একটু ভিন্নতা রয়েছে। গ্রিন টি একটু ভালো করে সংরক্ষণ করা হয়। আর এতে কোন ধরনের কালার বা ফ্লেবার ব্যবহার করা হয় না। এজন্য গ্রিন টি'তে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা কিনা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
গ্রিন টি এর উপকারিতা
গ্রিনটি হচ্ছে খুবই উপকারী একটি পানীয়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
আর ব্লাড প্রেসার ও ব্লাড সুগার কমাতে সহায়তা করে। তাছাড়া ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমায় এবং হার্ট ডিজিজ প্রিভেন্ট সহায়তা করে। তাছাড়া ত্বক ও তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে।
গ্রিন টি এর অপকারিতা
গ্রিন টি এর মধ্যে ক্যাফেইন থাকে আর এই ক্যাফেইন আমাদের শরীরে যে আয়রন সৃষ্টি হয় তা শোষণে বাধা দিয়ে থাকে। যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম তারা গ্রিন টি নিয়মিত পান করলে তাদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আরো অনেক কমে যাবে।
আরো পড়ুনঃ স্মার্ট মোবাইল ফোন কেনার আগে যেসব বিষয়ে জানা দরকার
আর তার কারণে শরীরে দুর্বলতা, হাত-পা কাঁপবে, শরীরে ক্লান্ত ভাব আসবে ও কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হবে। তাই অতিরিক্ত গ্রিন টি পান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে, গ্রিন টি নিয়মিত পান করলে শরীরের অনেক উপকার হয়ে থাকে। এটি পানের মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের মেটাবলিজম ক্ষমতা বাড়ায় তাছাড়া শরীরের তারুণ্য ধরে রাখতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।
তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গ্রিন টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর আমাদের নিয়মিত দিনে ৩/৪ কাপ পরিমাণে গ্রিন টি পান করা উচিত। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক কমে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url