১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে। কিন্তু বিনিয়োগ বাজেট যেহেতু কম তাই আপনার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সূচিপত্রঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
- ফুটপাতে খাবারের দোকান
- মাছের পোনা উৎপাদন
- পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন
- কাপড় লন্ড্রি করা দোকান
- পান ও সিগারেটের দোকান
- ঝাল মুড়ির দোকান
- মোবাইল রিচার্জ এর দোকান
- মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান
- এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা
- কাঁচা সবজির ব্যবসা
- সিজনাল ফলের ব্যবসা
- টি স্টল বা চায়ের দোকান
- কফি শপের দোকান
- পুরাতন বইয়ের দোকান
- বিভিন্ন ফলের জুস বারের দোকান
- কৃষি পণ্যের বীজ উৎপাদন
- পাঠশালা বা কোচিং সেন্টার
- ফটোগ্রাফি স্টুডিও
- প্রাণী পালন ও বিক্রয়
- নাচ ও গানের স্কুল
- চিত্রাঙ্কন ও আর্ট স্কুল
- কাগজের ঠোঙ্গার ব্যবসা
- অনলাইন গিফট শপ
- হোমমেড ফুড ডেলিভারি
- কাঁচা সবজির দোকান
ব্যবসার আইডিয়া
ব্যবসা হচ্ছে একটি ইনকাম করার একটি বড় মাধ্যম। বর্তমান সময়ে মানুষ ব্যবসায় বিনিয়োগ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায় লাভবান হওয়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবসা সম্পর্কে আইডিয়া না থাকার কারণে অনেকেই ব্যবসা করতে গিয়ে পুঁজি হারিয়ে লস করে বসে।
এতে করে তাদের জীবন যাত্রার মান বহুগুনে খারাপ হয়ে যায়। তাই আমরা যদি কম টাকায় ব্যবসা শুরু করতে চাই তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই সেই ব্যবসাটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে। ব্যবসা সম্পর্কে যদি সঠিক ধারণা থাকে তাহলে সেই ব্যবসা থেকে লাভবান হওয়া যায়। আমাদের ধরে নিতে হবে আমরা যেই ব্যবসাটি শুরু করব সেটি ছোট কিন্তু একসময় এই ব্যবসাটিকে আমাদের অনেক বড় করতে হবে।
আর আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যান তাহলে অবশ্যই এই ব্যবসা গুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাই আমারা চাকরির পিছনে না ঘুরে একটি ভালো ব্যবসা শুরু করতে পারি। কারণ ব্যবসার মাধ্যমে আপনাকে অন্য কারো অধীনে কাজ করতে হবে না। আপনার ব্যবসা যদি বাড়াতে পারেন তাহলে আরো অনেক বেকার যুবকদের আপনি কাজের সুযোগ করে দিতে পারবেন।
এতে করে আপনার ব্যবসার প্রসার বাড়বে এবং আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন। তাই আসুন চাকরির পিছনে না ছুটে ব্যবসা শুরু করি। আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে বেশ কয়েকটি ১০ হাজার টাকায় ব্যবসার ২৫ টি আইডিয়া দেয়া হলো। আপনারা অবশ্যই মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
1. ফুটপাতে খাবারের দোকান
ফুটপাতে খাবারের দোকান একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসায় পুঁজি অনেক কম লাগে এবং এই ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। এই ব্যবসায় মোটামুটি আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন। আর যখন আপনার ব্যবসা ধীরে ধীরে বাড়বে তখন চাইলে আপনি আপনার ব্যবসা আরো বড় করতে পারবেন। আমরা অনেকেই এই ব্যবসাকে ছোট মনে করি কিন্তু কোন ব্যবসাই ছোট না।
যদি আমরা পরিশ্রম দিয়ে কোন ব্যবসা করে থাকি তাহলে অবশ্যই সেই ব্যবসা আমাদের লাভবান করে তুলবে। তাই আপনার বাজেট যদি ১০ হাজার টাকার আশেপাশে হয়ে থাকে তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় ফুটপাতে খাবারের ব্যবসাটি করতে পারে।
আপনাকে আরেকটি দিক মাথায় রাখতে হবে আপনি যদি ব্যবসাটি শুরু করেন তাহলে খাবারের মধ্যে আপনি যেই জিনিসটি ভাল পারেন বা মানুষ পছন্দ করবে এমন খাবারের ব্যবসা দিয়ে শুরু করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
2. মাছের পোনা উৎপাদন
আমরা অনেকে হয়তো জানি না মাছের পোনা উৎপাদন করতে আমাদের খুব বেশি পুঁজির দরকার হয় না। আমরা এই মাছের পোনার ব্যবসাটি ১০ হাজার টাকার আশেপাশেই শুরু করতে পারব। আর ব্যবসাটি শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে মাছের পোনা কিভাবে উৎপাদন করতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে হবে।
এইজন্য আপনাকে আপনার কাছের উপজেলার মৎস ও কৃষি কর্মকর্তা থেকে সঠিক পরামর্শ ও গাইডলাইন নিতে হবে। আর একবার আপনি মাছের পোনা উৎপাদন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করলে এই ব্যবসাটি খুব দ্রুতই প্রসার ঘটাতে পারবেন।
তাই আপনার যদি লক্ষ্য হয়ে থাকে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা হওয়ার তাহলে আপনি শুরুতে এই ব্যবসাটি দিয়েই করতে পারেন।
3. পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন
বর্তমানে পোল্ট্রি মুরগির চাহিদা অনেক বেশি। আর সেই চাহিদাকে মাথায় রেখে আমাদের দেশে অনেক পোল্ট্রি ফার্ম করে উঠেছে। আর সেই ফর্মগুলোতে প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণে পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চার প্রয়োজন হয়। আর আপনি যদি পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের এই ব্যবসাটি শুরু করতে চান তাহলে আপনি আর্থিক লাভবান হতে পারবেন।
এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে বাচ্চা কিভাবে উৎপাদন করতে হয় এই বিষয়টি বিশেষভাবে জানতে হবে এবং জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তারপর সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে প্রথমে আপনার আশেপাশের যে কয়টি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে সেগুলোর মালিকের সঙ্গে আপনাকে যোগাযোগ রাখতে হবে।
4. কাপড় লন্ড্রি করা দোকান
কাপড় লন্ড্রির দোকান একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসাটি শুরু করতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি স্থান নির্ধারণ করতে হবে। তারপর আপনার প্রয়োজন হবে কাপড় লন্ড্রি করা আয়রন যন্ত্র। ভালো মানের আয়রন কিনতে আপনার দেড় থেকে দু হাজার টাকা লাগবে।
এইভাবে আপনি একটি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে যদি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুতই আপনি লাভবান হতে পারবেন। তাই দেরি না করে ১০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
5. পান ও সিগারেটের দোকান
আর মাথায় রাখতে হবে আপনি যেখানে দোকান দেবেন সেখানে যেন সাধারণ লোকজনের যাতায়াত বেশি থাকে। যদি পারেন রাস্তার পাশে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ রাস্তার পাশে মানুষের যাতায়াত বেশি থাকে। তাই আপনি যদি ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে পান ও সিগারেটের দোকান দিতে পারেন। এটি একটি খুবই লাভজনক ব্যবসা।
আরো পড়ুনঃ স্মার্ট মোবাইল ফোন কেনার আগে যেসব বিষয়ে জানা দরকার
6. ঝাল মুড়ির দোকান
ঝাল মুড়ির দোকান একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসায় আপনার পুঁজি ১০ হাজার টাকার কম হলেও হয়ে যায়। আর আপনি এ ব্যবসা যেখানে খুশি সেখানে করতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন জায়গায়, যেমন যেখানে লোকজনের সমাগম বেশি থাকে সেখানে ঝালমুড়ি বিক্রি করতে পারেন। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনার ঝালমুড়িটা যেন মানুষ পছন্দ করে।
আর একবার খেলে যেন বারবার আপনার কাছে খেতে আসে। আর আপনি যদি প্রতি মুড়ি দশ টাকা করে বিক্রি করেন তাহলে দিনশেষে আপনার অনেক টাকা লাভ হবে। তাই ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
7. মোবাইল রিচার্জ এর দোকান
বর্তমান সময়ে মানুষের মোবাইল ফোন ছাড়া এক মিনিটও চলে না। আর সেই সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল দিয়ে একজনের সঙ্গে আরেকজনের যোগাযোগ তো চলতেই থাকে। আর সেই জন্য মোবাইলে রিচার্জ করতে হয়। আর মোবাইল রিচার্জ এর দোকানে আপনি দেখবেন সব সময় ভিড় লেগে আছে। আর এই ব্যবসায় ভালো পরিমাণ কমিশনও পাওয়া যায়।
এ ব্যবসায় পুঁজিও কম লাগে। তাই আপনি অল্প টাকা দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আর ব্যবসাটি করার আগে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনার দোকানের আশেপাশে লোকজনের সমাগম ঘটে। তাই দেরি না করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
8. মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান
বর্তমান সময়ের মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান কি লাভজনক ব্যবসা। এখানে আপনার পুঁজি অনেকটাই কম লাগে। এ ব্যবসাটি আপনার দক্ষতার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য। এই ব্যবসা টিতে শুরুতে কিছু পুঁজি লাগে এবং পরবর্তীতে আপনার দক্ষতা লাগে। আর এই ব্যবসা টিতে আয় তুলনামূলক অনেক বেশি।
শুধু আপনাকে মাথা খাটিয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে। আর আপনি যদি কোন টেকনিশিয়ান থেকে শিখে তারপর মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দেন তাহলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন। তাই দেরি না করে ভাবনা চিন্তা করে আপনি মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিতে পারেন।
9. এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা
এক্সপোর্ট কাপড় বলতে আমরা যেগুলোকে বুঝি সেগুলো হচ্ছে বিদেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে যেগুলো কাপড় তৈরি করা হয়। আর আমরা সেই এক্সপোর্ট কাপড় গুলোই বিক্রি করব। বিদেশে যেগুলো কাপড় রপ্তানি হওয়ার ক্ষেত্রে বাতিল হয়ে যায় সেগুলো খুব কম দামে কিনতে পাওয়া যায়।
সেই কাপড়গুলো আপনি কিনে নিয়ে আপনার দোকানে বা ভ্যানে করে খুব সহজেই বিক্রি করতে পারেন। আর এই ব্যবসা যদি একবার আপনি শিখে নিতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনার এ ব্যবসা আরো প্রসার ঘটাতে পারবেন। এজন্য আপনাকে এক্সপোর্ট কাপড় যেখানে পাইকারি কিনতে পাওয়া যায় সেখানে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে এবং কাপড় কিনে আনতে হবে।
তাই আপনি যদি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি দিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনি শুরুতে মোটামুটি ১০ হাজার টাকা দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
10. কাঁচা সবজির ব্যবসা
কাঁচা সবজির ব্যবসাও একটি লাভজনক ব্যবসা। আপনি যদি এই ব্যবসাটি শুরু করতে চান তাহলে মোটামুটি দশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন। এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে উৎপাদন পর্যায়ে পণ্য কিনে আনতে হবে আর সেই পণ্য বাজারে বিক্রি করতে হবে।
মূলত বিষয়টি হচ্ছে আপনাকে উদ্যোক্তা পর্যায়ে থেকে কিনে এনে তারপর বাজারে বিক্রি করতে হবে। এতে করে আপনি এই ব্যবসাটি থেকে আয় করতে পারবেন। আর ধীরে ধীরে আপনার আয় বাড়বে। তাই দেরি না করে ১০ হাজার টাকায় এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
11. সিজনাল ফলের ব্যবসা
সিজনাল ফল বলতে আমরা বুঝি মৌসুমী ফালকে। মৌসুমী ফল সব সময় পাওয়া যায় না। এই ফলগুলো আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। আর এটিকে টার্গেট করে আমাদের ব্যবসা করতে হবে। মৌসুমী ফল বলতে আমরা যেগুলোকে বুঝি যেমন তরমুজ পেয়ারা মালটা নারকেল আনারস বেল লিচু আম ইত্যাদি। মূলত আমাদের যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে এই ফল গুলোকে পাইকারি ভাবে কিনে খুচরো বিক্রি করতে হবে।
12. টি স্টল বা চায়ের দোকান
টি স্টল বা চায়ের দোকান একটি অতি লাভ জনক ব্যবসা। চায়ের দোকানে প্রতিনিয়ত মানুষের ঢল লেগেই থাকে। তাই চায়ের দোকানে কাস্টমার সবসময়ই থাকে। আর মানুষ চা প্রেমি। চা খেতে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং চায়ের দাম কম থাকায় মানুষ চাহিদার শীর্ষে রাখে। আর চায়ের দোকানে আপনাকে পুঁজি বেশি খাটাতে হয় না আপনি চাইলে ১০০০০ টাকা বা তার কম দিয়েও ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
আর একবার যদি মানুষকে ভালোভাবে চা খাওয়াতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার সেই কাস্টমার আপনার কাছেই ঘুরে ফিরে আবার আসছে। তাই আপনাকে চায়ের দোকান শুরু করলে কোয়ালিটি ঠিক রেখে দোকান শুরু করতে হবে। এই চায়ের দোকানে প্রচুর লাভ। তাই আপনি আপনার পছন্দ তালিকায় চায়ের দোকানকে রাখতে পারেন।
13. কফি শপের দোকান
চায়ের দোকানের মত কফি শপও একটি লাভজনক ব্যবসা। বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ চায়ের থেকে কফি কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই দিন দিন কফি শপের ও চাহিদা বেড়ে চলেছে। আর এই ব্যবসাটি করতে গেলে আপনাকে ১০ হাজার টাকায় শুরু করতে পারেন।
আর এখানে যদি আপনি কোয়ালিটি ঠিক রাখতে পারেন তাহলে চায়ের দোকানের ক্ষেত্রে যেমনটি ঘটে কফি শপেও তেমনটি ঘটবে। মানুষ ঘুরে ফিরে আপনার শপই আসবে। তাই কফি শপের দোকান দিলে অবশ্যই আপনাকে এই দিকগুলো মাথায় রাখতে হবে।
14. পুরাতন বইয়ের দোকান
আপনি চাইলে পুরাতন বইয়ের দোকান দিতে পারেন। আপনি বিভিন্ন ভাঙ্গারির দোকান থেকে পুরাতন বইগুলো কিনে আনতে পারেন। আর এই বইগুলো চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বাজারে বিক্রি করতে পারেন। কারণ পুরাতন বইয়ের দাম একটু কম হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা পুরাতন বইয়ের দিকে ঝুঁকে। তাই আপনাকে এই দিকটি মাথায় রেখে পুরাতন বইয়ের দোকান দেওয়া উচিত।
15. বিভিন্ন ফলের জুস বারের দোকান
আপনি চাইলে মৌসুমী ফল দিয়ে জুস বারের দোকান দিতে পারেন। আর বর্তমান সময়ে গরমের যেই তাপদাহ। এই তাপদাহে মানুষের চাহিদা প্রথমে থাকে ঠান্ডা পানীয়। আর আপনি যদি এটিকে কাজে লাগিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাহলে দেখবেন খুব দ্রুতই আপনি লাভবান হচ্ছেন। এই ব্যবসাটি করতে গেলে আপনাকে একটি জুস বানানোর ব্লেন্ডার কিনতে হবে।
তাছাড়া জুস বানানোর বিভিন্ন ফল আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। আর আপনাকে একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে যেখানে লোকজনের যাতায়াত বেশি থাকে। তাহলে এ কয়েকটি বিষয়ে মাথায় রেখে আপনি বিভিন্ন ফলের জুস বারের দোকান দিতে পারেন।
16. বিভিন্ন কৃষি পণ্যের বীজ উৎপাদন
বিভিন্ন কৃষি পণ্যের বীজ উৎপাদন করে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন পরিপক্ক ফলের বীজ সংগ্রহ করতে হবে। আর সেই ফলের বীজ গুলোকে উন্নত জাতের বীজে রূপান্তর করতে হবে। আর বীজগুলো বাজার জাত করে একটি ভালো পরিমাণের আই ইনকাম করা সম্ভব। তাই আপনার বাসা যদি গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকে তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য খুবই কাজে দেবে। তাই দেরি না করে শুরু করে দিন।
17. পাঠশালা বা কোচিং সেন্টার
পাঠশালা কোচিং সেন্টারে ক্ষেত্রে আপনি যদি একজন ভাল স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং আপনি যে বিষয়টি পড়াবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে যদি বেশি জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় পাঠশালা ও কোচিং সেন্টার চালু করতে পারেন। পাঠশালা ও কোচিং সেন্টার করার জন্য আপনার বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে না। আপনি ১০ হাজার টাকার আশেপাশেই এই কোচিং সেন্টারটি স্থাপন করতে পারবেন।
এজন্য আপনার প্রথমে একটি রুম নির্বাচন করতে হবে এবং রুমের জন্য টেবিল ও বেঞ্চের ব্যবস্থা করতে হবে। ধীরে ধীরে আপনি পড়াতে থাকবেন এবং এক সময় দেখবেন আপনার স্টুডেন্ট অনেক বেশি হয়ে গেছে। এতে করে আপনি অন্যদেরকে শিক্ষাও দিতে পারছেন আবার আপনি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাই আপনি যদি শিক্ষিত হয়ে থাকেন তাহলে পাঠশালা বা কোচিং সেন্টার আপনার জন্য একটি ভালো চয়েস।
18. ফটোগ্রাফি স্টুডিও
ফটোগ্রাফি স্টুডিও একটি লাভজনক ব্যবসা। কিন্তু এই ব্যবসাটি একটু ভিন্নধর্মী। আর এখানে আপনাকে একটু বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তাই অন্যান্য ব্যবসার থেকে এটি ব্যতিক্রমী। কিন্তু আপনি যদি একটু বিনিয়োগ করেন তাহলে এই ব্যবসা থেকে মোটামুটি ভালো আয় করতে পারবেন। আর আপনার যদি পুঁজি কম হয়ে থাকে তাহলে এই ব্যবসাটি না করাই আপনার জন্য ভালো।
19. প্রাণী পালন ও বিক্রয়
পশু পালন ও বিক্রয় একটি অন্যতম লাভজনক ব্যবসা। কারণ এ ব্যবসায় ১০ হাজার টাকার বেশি পুঁজি লাগে না। ১০ হাজার টাকার কম বিনিয়োগ করেই প্রাণী পালন করা যায়। যেমনঃ
- গরু
- ছাগল
- মুরগি
- হাস
- কবুতর
- কোয়েল পাখি ইত্যাদি
আপনি যদি কম সময়ে ভালো একটি আয়ের মাধ্যম তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রাণী পালন করতে হবে এবং তা বাজারে বিক্রি করতে হবে। আর আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আপনি যে কাজটি করছেন সেটি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে করতে হবে। আর এইভাবে যদি ব্যবসাটা শুরু করেন তাহলে আপনি অবশ্যই সাফল্য অর্জন করবেন। তাই কোন ধরনের চিন্তা ছাড়াই আপনি প্রাণী পালন ও বিক্রয় এই ব্যবসাটি খুব কম খরচে শুরু করতে পারেন।
20. নাচ ও গানের স্কুল
বর্তমান সময়ে তরুণদের প্রধান পছন্দ হচ্ছে গান ও নাচ। আর আপনি এটিকে কাজে লাগিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এতে করে আপনার কাছ থেকে বাচ্চারা গান ও নাচ শিখতে পারবে এবং সেটির কারণে আপনার একটা আয়ের মাধ্যম তৈরি হবে। তাই আপনাকে নাচ গানের জন্য প্রথমে একটি বা দুইটি রুমের প্রয়োজন হবে। যেখানে আপনার শিক্ষার্থীরা এসে এগুলো শিখতে পারবে। আর সব পেলে আপনার এই ব্যবসায় খুব একটা বেশি বিনিয়োগ করতে হবে না। হালকা বিনিয়োগের মাধ্যমেই আপনি এটি শুরু করতে পারেন।
21. চিত্রাঙ্কন ও আর্ট স্কুল
প্রথমেই বলে রাখি আপনার যদি চিত্রাঙ্কন বা আর্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই একটি আর্ট স্কুল খুলে ফেলতে পারেন। আরে আর্ট স্কুলে ছোট ছেলেমেয়েদের আপনি কিছু অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে আর্ট শেখাতে পারেন। এতে করে আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে আপনার একটি আয়ের মাধ্যম তৈরি হবে। আর সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে যদি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন তাহলে একসময় আপনার এই চিত্রাংকন ও আর্ট স্কুল খুব ভালো পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।
আর আপনি নিজে উদ্যোক্তা হয়ে আরো বেকার যুবকদের চাকরির কর্মসংস্থান করে দিতে পারবেন। আর শুরুতে আপনাকে একটু কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আর আপনি যদি নিয়মিত লেগে থাকেন তাহলে সফলতা অবশ্যই আসবে। তাই আপনার যদি চিত্রাঙ্কন বা আর্ট সম্পর্কে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এটি করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম
22. কাগজের ঠোঙ্গার ব্যবসা
কাগজের ঠকার ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। এটি শুরু করতে হলে আপনার বাজেট দশ হাজার টাকায় শুরু করতে পারবেন। কারণ এই ব্যবসায়ী খুব বেশি দ্রব্য সামগ্রী প্রয়োজন হয় না। কারণ ঠোঙ্গা বানাতে মূলত কাগজ ও আঠার প্রয়োজন হয়। তাই আমাদেরকে কাগজ ও আঠা সংগ্রহ করে ঠোঙ্গা বানাতে হবে। আর ঠোঙ্গা বানানোও খুব সহজ।
আপনি ইউটিউবে দুই একটা ভিডিও দেখলেই খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। আর এই ঠোঙা গুলো আপনারা বিভিন্ন ফলের দোকান হোটেল রেস্তোরাঁ মুদিখানার দোকান ওষুধের দোকান সহ বিভিন্ন দোকানে খুব ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এই ব্যবসাটিতে আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে কোন কাজই ছোট না।আপনি যদি মন থেকে কোন কাজ করেন তাহলে আপনার সফলতা কেউ ঠেকাতে পারবেনা। আর যখন আপনি এই ব্যবসায় সফল হবেন তখন আপনি নিজেই একটি উদ্যোক্তা হয়ে উঠবেন এবং বেকার যুবকদের আপনার এই ব্যবসায় কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারবেন। তাই এই ব্যবসাটা যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি খুব সহজেই এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
23. অনলাইন গিফট শপ
বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইনে এরপর নির্ভরশীল। আর আপনি সে অনলাইন কে কাজে লাগিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি অনলাইন গিফট শপের ব্যবসা দিয়ে শুরু করতে পারেন।কারণ সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাহিদাও অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে।
এজন্য আপনি উৎসবকে টার্গেট করে বিভিন্ন গিফট আইটেম আপনার সাথে রাখতে পারেন। আর সেই গুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর এই ব্যবসায় আপনার বাজেট ১০০০০ টাকার কাছাকাছিতেই হয়ে যাবে। তাই পরিকল্পনা নিয়ে থেকে শুরু করতে পারেন।
24. হোমমেড ফুড ডেলিভারি
আপনি চাইলে হোমমেড ফুড ডেলিভারি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটিতে আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। আর ব্যবসাটি শুরু করার আপনাকে জনপ্রিয় যেই ডেলিভারি এজেন্সি রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে পারেন। এতে করে আপনার খাবার নির্দিষ্ট সময়ে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।
এখানে ডেলিভারি খরচ একটু বেশি হলেও আপনি আপনার কাস্টমারের কাছে খাবারটি সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে পারবেন। আর যেহেতু খাবারগুলো আপনি নিজেই তৈরি করবেন সেও তো আপনার খরচ কম হবে। তাই আপনি যদি কোন ব্যবসার মাধ্যমে সফল উদ্যোক্তা হয়ে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে চান তাহলে হোমমেড ফুড ডেলিভার ব্যবসাটি আপনার জন্য উপযুক্ত।25. কাঁচা সবজির দোকান
দশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে আপনি কাঁচা সবজির দোকান দিতে পারেন। কাঁচা সবজির দোকান খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। এখানে আপনি প্রতিদিন পাইকারি হারে শক্তি কিনবেন এবং সেইগুলো খুচরো হিসেবে বিক্রি করবেন। এতে করে আপনার খুব ভালো পরিমাণ আয় হবে। আর ধীরে ধীরে যখন আপনার দোকানের পরিচিতি বাড়বে তখন আপনার বেচাকেনা আরও বেশি হবে।
আর ব্যবসার একটি প্রধান ভালো দিক হচ্ছে কাস্টমারের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। আর আপনি যদি একবার কাস্টমারের মন জিততে পারেন তাহলে সে কাস্টমারটি বারবার আপনার দোকানেই আসবে। তাই ব্যবসা শুরু করার আগে এইসব জিনিসগুলো ব্যবসা শুরু করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমান সময়ে আপনি যেই ব্যবসায়ী শুরু করেন না কেন আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে ও সময় দিতে হবে।আর আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে কোন কাজই ছোট না। আপনি যদি আপনার তো ঠিক করার ব্যবসাটিতে সঠিকভাবে সময় দিতে পারেন তাহলে একসময় আপনার এই ছোট ব্যবসাটিই অনেক বড় হবে।
এর পাশাপাশি আপনি নিজে উদ্যোক্তা হয়ে আপনার ব্যবসায় বেকার তরুণ ও যুবকদের কাজের কর্মসংস্থান তৈরি করে দিতে পারবেন। তাই এখন থেকে লক্ষ্য স্থির করুন কোন ব্যবসাটি আপনার জন্য আর কোনটি আপনি সঠিকভাবে করতে পারবেন। একটু এভাবে ভাবনা করে ব্যবসা শুরু করে দিন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url